আমাদের সম্পর্কে

যার স্বাস্থ্য ভালো তার সব ভালো। স্বাস্থ্যের সঙ্গে মনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ নিজের সুখের জন্য পথ তৈরি করে নেবেন নিজ থেকেই। অপরদিকে আকজন অসুস্থ মানুষ চাইলেও নিজের মনকে সুখ দিতে পারে না। কারণ কোনো কাজেই তিনি সুখ পান না। এ কারণেই সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন যাপন করতে সবাইকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিজেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কিছু কাজও করতে হবে নিজেকে মানসিকভাবে সুখী করার জন্য। সেসব অভ্যাস ও কাজের কথাগুলোই সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে allzil.com এ।

সৃষ্টির ইতিহাস থেকে জানা যায়, শুরু থেকেই মানুষের মাঝে রোগ-বালাই, শোক-তাপের অস্তিত্ব লক্ষ্যনীয়। তখন বিজ্ঞান এতো প্রসার লাভ করে নাই। ফলে মানুষ তাবিজ-কবজ, ঝার-ফুঁক, লতা-পাতাসহ ভেষজ চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল ছিল। কোন রোগের কী নাম, কেন হয়, প্রতিষেধকের ব্যবস্থা কী-এগুলো মানুষের সঠিকভাবে জানা ছিল না। এখন বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের দিনে মানুষ জানতে সক্ষম হয়েছে প্রতিটি রোগের নাম, রোগের কারণ, রোগের জন্য দায়ী জীবাণুর নাম এবং প্রতিষেধকে উপায়। এছাড়াও গবেষকরা বলে দিচ্ছেন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনাচারের পদ্ধতি সম্পর্কে, যেভাবে চলাফেরা করলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। কীভাবে চলাফেরা করলে এবং কীসব খাওয়া-দাওয়া করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেসব বিষয়ও উঠে এসেছে গবেষণার রিপোর্টে। শুধু ঔষুধের উপর নির্ভর না করে, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমেও আমরা রোগ-বালাই-শোক-তাপ থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারি-এ বিষয়টি আজ প্রমাণিত।

জেনে শুনে নিয়ম মেনে খেলে সব খাবারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। কিন্তু কোন ঔষুধই কিন্তু একেবারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত নয়। যেমন ওজন কমানোর ঔষুধ। এ ঔষুধগুলোর রয়েছে প্রবল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ রিসার্চ গ্রুপের পরিচালক ড. সিডনি এম ওলফ (Dr. Sidney M. Wolfe) বলেন, এমন কোন ঔষুধ পাওয়া সম্ভব নয়, যা শুধু নিরাপদে ওজন কমাবে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না।

স্থূলকায় লোকদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ছাড়াও স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। ওজন কমানোর ঔষুধ প্রদানের মাধ্যমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি আরও অনেকগুণ বেড়ে যায়। এটা অনেকটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো। শুধু বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই সবসময় ওজন বাড়ে না। ওজন বাড়ার সংঙ্গে খাবার ছাড়াও পরিবেশসহ সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক, আবেগ, জৈবিক এবং বহু কারণ জড়িয়ে আছে। এতগুলো বহুমুখী সমস্যা সমাধানে একটি মাত্র ট্যাবলেট আবিষ্কার রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার। AllZil এ শুধু ঔষুধের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধের বিষয়গুলো স্পষ্ট, সুন্দর এবং সাবলীলভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

সবাই সুস্থ থাকতে চায় যতোদিন বেঁচে থাকবেন ততোদিনই যেন সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকতে পারেন-এটাই সবার কাম্য। অসুস্থতা শুধুমাত্র শরীরকেই দুর্বল করে ফেলে না এটি মানসিক দিককেও দুর্বল করে দেয়। একজন অসুস্থ মানুষ জীবনের আশা হারিয়ে ফেলেন এবং আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই আমাদের যতোটা সম্ভব অসুস্থতা এড়িয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। আমরা আমাদের নিয়মিত অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর কাজের মাধ্যমেই নিজেদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারি। প্রশ্ন উঠতে পারে-কীভাবে? নিজেদের কিছু স্বাস্থ্যকর কাজ যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সে কাজগুলো করতে পারলে আমাদের শরীর নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পায়। AllZil এ সেসব স্বাস্থ্যকর কাজগুলো সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

আধুনিক ডিজিটাল যুগে আমরা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকছি ইন্টারনেট, ই-মেইল, ডাউনলোড, ফেইসবুক, টুইটার, বার, ক্লাবসহ আরও কত কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্ষুধা পেলে খেয়ে নিচ্ছি রিচ গুড, জাঙ্ক ফুড, নানা ধরনের ড্রিংক্স। এসব কারণে আমরা অনেক সময় স্বাভাবিক জীবনাচার, সুষম খাবার দাবারসহ সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। এমতাবস্তায় আমাদের করণীয় কী? করণীয় একটা আছে। সেটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আমাদের সব ধরনের লোভ সংবরণ করতে হবে। কথায় আছে- যার জিহ্বা সংযত তার স্বাস্থ্য সুসংহত। খাবারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হলে তা জ্বালিয়ে দিতে হবে, জমানো যাবে না। সে খাবার উৎকৃষ্ট, যে খাবার সুষম। আমাদের একটু কষ্ট করতে হবে ক্যালরি জ্বালাতে হলে। সেক্ষেত্রে ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রমই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা, সুষম খাদ্য গ্রহণ, শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম, ব্যায়াম মানুষকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে, সবল রাখে।

আধুনিক মেডিকেল সাইন্স বিশাল এবং ব্যাপক। এতবড় তথ্যভাণ্ডার একক কোন ব্যক্তির নখদর্পণে থাকা অসম্ভব। তাইতো এই ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে শুধুমাত্র নিজস্ব মেধা ও মননের উপর নির্ভর করা হয়নি, ধর্ণা দিতে হয়েছে বিশ্বের যতো বড় বড় মেডিকেল জার্নালের দ্বারে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ দেশ বিদেশের মেডিকেল জার্নালগুলোর বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বহু নামী-দামী ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে বইটিকে উন্নত রূপ দিতে।

AllZil এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ এবং শারীরিক পরিশ্রম ব্যায়ামের মাধ্যমে কীভাবে আজীবন সুস্থ থাকা যায় সে সম্পর্কে ব্যাপক ও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইট পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তবেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

Dr. Munaem Billah, MBBS, MCPS, DTCT (CHEST), FCPS (MEDICINE),
MD (CARDIOLOGY), FRCP (EDIN), FRCP (USA), FACC (USA)